গাজীপুরে একটি স্কুলের ছাত্রীদের ধূমপানের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর চার ছাত্রীকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই চার ছাত্রী গাজীপুরের টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্কুলের ড্রেস পরিহিত অবস্থায় গলিতে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছিল ওই ছাত্রীরা। সেই দৃশ্যের ভিডিও গোপনে ধারণ করে তাদের সহপাঠীরা।
পরে হাত বদলে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে। তবে ভিডিওটি কবে, কখন ধারণ করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় চার ছাত্রীকে বহিষ্কার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ভিডিওটি ভাইরাল হলে গত ২০ এপ্রিল নজরে আসে স্কুল কর্তৃপক্ষের। তখন স্কুল বন্ধ থাকায় ওই চার ছাত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। ঈদের ছুটি শেষে স্কুল খোলা হলে গত মঙ্গলবার (১০ মে) ওই চার শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে আনেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান।
অভিযুক্ত চার শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয় এবং পরে স্কুল থেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে বলা হয়। ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির চার ছাত্রী স্কুলের পাশের একটি কোচিং সেন্টারের গলিতে স্কুল পোশাক পরিহিত অবস্থায় ধূমপান করছে।
তাদের একজনকে জ্বলন্ত সিগারেট টানতে দেখা যায় এবং আরেক ছাত্রীকে দিয়াশলাই দিয়ে সিগারেটে আগুন ধরাতে দেখা যায়। এ সময় পাশে আরও দুই ছাত্রীকে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে দেখা যায়। ওই চার ছাত্রীর ধূমপানের দৃশ্য অপর পাশ থেকে মোবাইলে ধারণ করে অন্যা শিক্ষার্থীরা। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অজ্ঞাত কেউ ছড়িয়ে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, রমজান মাসে কোচিং শুরুর আগে চার ছাত্রী ধূমপান করে। এ সময় পাশে থাকা সহপাঠীরা তাদের ধূমপানের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে শিক্ষকরা ভিডিও দেখে অভিভাবকদের জানান।
সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান জানান, রমজান মাসে স্কুল বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। গত মঙ্গলবার অভিভাবকদের ডেকে এনে চার ছাত্রীকে মৌখিকভাবে স্কুলে না আসার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি গাজীপুর শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও অবহিত করা হয়েছে।
গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা জানান, ‘বিষয়টি শুনেছি। প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে আগামী সোমবার (১৬ মে) এ বিষয়ে কথা বলব। ’
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, ‘ধূমপানের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখা হবে। ’